নীলজল
আমি আবারো জাগ্রত হতে চাই,
চোখের ললাটের কাজল রেখেটুকু মুছতে চাই।
কুয়াশাঢাকা দীঘির জলে,
আধঘুম চোখটাকে ধুতে চাই।
আমি তেপান্তরের ওপারে থাকা,
নীলাভ রশ্মিটাকে ছুতে চাই।
আমাকে তোরা কেন বাঁধিস?
মায়ার ডরে, কুসুম কুসুম উত্তাপে।
আমি ছুটে যেতে চাই,
নীল নীলাদ্রির সৌরকুপে,
তোমাদের জন্যে তুলে আনতে চাই,
উষ্ণতার চাদর বুনা রক্ত কণা।
আমি যেতে চাই,
অন্তগহীনে, অন্তরীক্ষে থেকে আরও গভীরে,
যেখানে ছাইচাপা আগুনরা দাউ দাউ করে জ্বলে,
জ্বলন্ত অঙ্গারে-
কুলসিতরা মরে,
গুমরে থাকা সংকীর্ণরা জেগে উঠে,
জেগে উঠে, চেপে থাকা আর্তনাদ,
জেগে উঠে, মরিচাপড়া দগ দগ দাগ।
অসিন সৌরভে, ডগবগে ফুটন্ত কামনার কণা,
প্রবাহিত হওয়ার বাসনায় তৈরি গিরিপথ,
নীল লাভায় ধুয়ে মুছে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষায়,
উন্মুখ গিরি, উন্মুখ প্রকৃতি, উন্মুখ আকাশ বাতাস,
উন্মুখ মিশে যাওয়ার উন্মুক্ত মত।
তারপরও তোমরা আমাকে বাধ,
তোমরা আমাকে সাধ,
কত শৃঙ্খলতায়, কত কি নিয়মের জালে,
আষ্টেপৃষ্টে ধর।
তোমরাও তো ধৌত নও,
তোমাদের বদনে আছে কালি।
আমি ধূতে চাই- নীলজলে,
কামনার আরও গভীরে ডুবে।
তাতেও তোমাদের এতোসব বাহানা?
সময় ক্ষেপণে, কি সুমধুর তাল লয় ছড়া?
বাজিয়ে যাচ্ছ, শুনিয়ে যাচ্ছ,
আপনারে আপন মনে।
আর আমাকে রেখেছ, ময়লা করে।
এ কেমন খেলা তোমাদের?
দিনটাকে শেষ করে।
আবার রাত্রি এলে , সব কিছু অন্ধকারে,
আলতো করে মামাবাড়ির গল্প শুনিয়ে,
ঘুম পাড়িয়ে দেবে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন