রজকিনী
আমি ইট পাথরের জঙ্গলে বসে,
কতবারই না হাতছানি দেই।
আমায় দেখে খিলখিল করে হাসে নির্বোধ ল্যাম্ব পোস্টটা,
ও পাড়ার রং চটা জিনস প্যান্ট পরা ছেলেরা,
সিগারেটের ধোঁয়ায় অন্ধকার করে আমার পৃথিবী।
তারপরও তুমি নিস্তব্ধ নগরীর রজকিনী।
আঁধার নেমে এলে মনের গহিনে নামো,
কুয়াশায় ঢাকা শীতার্ত হৃদয়ে উষ্ণতা ঢালো ।
আমি দেহের গিরিখাদে খাদে খাদে,
ভয়াল জন্তুটাকে জয় করে,
মুক্ত কুড়াই, রুপো কুড়াই, সাথে নুড়ি পাথর।
তোমাকে সাজাবো বলে-
আশ্বিনের রাতে, মেঘগুলোর সাথে,
ভেজা দূর্বাঘাসের নরম পালকে।
তারপরও তুমি কেন নিস্তব্ধ নগরীর রজকিনী?
আমার হাশপাস হৃদপিণ্ড টাকে,
শুধিয়েছি কতবার,
বলেছি ওরে সোনা ওরে জাদুমণি,
আর একটু সবুর কর-
আসছে শরতের আকাশে ,
পূর্ণিমার সাথে, তাঁরারা বাতি জ্বালাবে,
সে নগ্ন পায়ে চুপি চুপি এসে,
তোমায় শুধাবে।
অন্ধকার নগরী ছেড়ে, পায়েলের আওয়াজে,
কাঁকনের রিনিঝিনি শব্দে,
ঝুমকো লতার দুলনিতে,
সে আসবে নগরী বিদীর্ণ করে,
সে যে রজকিনী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন