শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬

১:৫৫:০০ PM

ঈশ্বরের কি একটি শুরু আছে?

বাইবেল এভাবে বলে -- 
গীত ৯০ঃ ২
পর্বতমালার জন্ম হবার আগে,
তুমি দুনিয়া ও জগকে জন্ম দেবার আগে,
এমন কি, অনাদিকাল থেকে অনন্তকাল তুমিই ঈশ্বর।

এটা কি  যুক্তিযুক্ত?  আমরা যা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারি না, সেটা কে কি  প্রত্যাখ্যান করব? আর এভাবে প্রত্যাখ্যান করার জন্য বুঝতে না পারার যুক্তিই কি যথেষ্ট! 

উদাহরণ বিবেচনা করুন:
(১) সময়ঃ কেউ সময়ের শুরুটাকে নির্দিষ্ট করতে পারে না জানে না এঁর শুরু কখন। এবং এটা সত্য যে, যদিও আমাদের জীবন শেষ আছে, কিন্তু সময়ের  নেই। আমরা সময় সম্পর্কে এই  ধারণাকে  প্রত্যাখ্যান করতে পারি না, যদিও আমরা এই বিষয়টা সম্পূর্ণ রূপে আমরা বুঝতে পারি না, কিন্তু এটা আমাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের জীবনকে এটা পরিমাপ করে। এঁর অস্তিত্ব কে কি অস্বীকার করি?   
 (২) স্পেস :  
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এটার শুরু এবং শেষ খুঁজে পায়নি ।অধিকতর তারা যে মহাবিশ্বের অস্তিত্ব প্রমাণ করেছে, এঁর চেয়ে এখানে আরও বেশি কিছু রয়েছে। তাদের এই প্রমাণ গুলো কি  প্রত্যাখ্যান করা যায়, যেখানে অনেক বিজ্ঞানীরা বলেন যে এঁর শুরু অনাদিকাল থেকে। একই নীতি ঈশ্বরের অস্তিত্বের জন্য কি প্রযোজ্য নয় !  

(১) জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আমাদের জানায় যে,  সূর্যের অন্তঃস্থলে তাপমাত্রা ২৭,০০০,০০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট (১৫,০০০,০০০° সি)। আপনি কি এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করেন,  কারণ আমরা সম্পূর্ণরূপে এই তাপমাত্রার তীব্রতা পরীক্ষা করতে পারি না?

(২) বিজ্ঞানীরা আমাদের জানায়, আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথের আয়তন প্রায় ১,০০,০০০ আলোকবর্ষ প্রশস্ত। এমন একটা আলোকরশ্মির কথা চিন্তা করুন, যেটা প্রতি সেকেন্ডে ৩,০০,০০০ কিলোমিটার পথ পরিভ্রমণ করে। সেই রশ্মির আমাদের ছায়াপথ আড়াআড়িভাবে পার হতে ১,০০,০০০ বছর লাগবে! আর কিছু ছায়াপথ রয়েছে, যেগুলোর আকার আমাদের ছায়াপথের চেয়ে অনেক অনেক গুণ বড়। আপনি এই দীর্ঘতার বিষয় চিন্তা করতে পারেন? হয়ত পারেন না।  তবুও আমরা তা গ্রহণ করি কারণ বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমাণ এটাকে  সমর্থন করে।


কোনটা  অধিক যুক্তিসঙ্গতঃ মহাবিশ্বের যা জীবন ধারণ করছে, এঁর পেছনে কি বুদ্ধিমান কোণ স্রষ্টা আছে?  অথবা এটা ঘটনাচক্রে অস্তিত্বে এসেছে, এবং এঁর পেছনে কোন বুদ্ধিমান নির্দেশক কেউ নাই? কেউ কেউ সৃষ্টি করটার অস্তিত্বের বিষয় প্রশ্ন তোলে, এঁর কারণ হল- একজন সৃষ্টিকর্তার গুণাবলি ও অস্তিত্ব বিষয়ে কম জ্ঞান থাকার জন্যে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি যে, বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণরূপে জানে না যে কিভাবে জিন কাজ করে, এঁর জীবন্ত কোষ  এবং কোষ গুলোর বেড়ে উঠা। কেউ মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্রম  বিষয় পরিপূর্ণভাবে জানে না। কেউ কি এঁর অস্তিত্ব গুলো অস্বীকার করে?

আমরা কি সত্যিই একজন মহান ব্যক্তিকে সম্পূর্ণরূপে জানাতে পারি যে, এই মহাবিশ্বকে অস্তিত্বে এনেছেন, জটিল নকশা আর বিস্ময়কর আকার দিয়ে! 

বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

১২:৪৪:০০ PM

হড় পোড়ে না















আমি হৃদ মাঝারে বসে কামনার জ্বালায় জ্বলি , আর তুমি! মাঠে, ঘাটে, বাসে, বন্ধুদের আড্ডায়, আগামী দিনের স্বপ্নের জাল বুনো। আমি আমার অস্তিত্বের যন্ত্রণায় কাতরায়, আর তুমি ! কাগজে কলমে, বইয়ের পাতায়, ভবিষ্যতের রঙ্গিন দিনের স্বপ্ন আঁক । আমি আর তুমি! কি বিরাট ব্যবধানেই দূরত্বে, মননে, বাসনায়, কল্পনাতে। আমি যখন শীতের এই রাতে, খোলা আকাশের নীচে, কাঁপতে থাকা শিশুটির কথা ভাবি- তখন আমার উষ্ণ শরীরে শীতের কুয়াশা নেমে আসে। বাকরুদ্ধ মোটা ঠোট দুটো কাঁপতে থাকে। ভিতরটা চিৎকার করে হুঙ্কার দিয়ে উঠে। আমার ছটপটে সারারাত নির্ঘুম কাটে। আমি যখন একদল ঘর হারা মানুষের কথা ভাবি, যারা এই ক' দিনের আগেও, শীত-বৃষ্টি থেকে নিজেকে বাঁচাত, আজ তারা খোলা আকাশের নীচে- আজ তারা অনাহুত বাসিন্দা, আজ তারা উদবাস্ত, আজ তারা নিরাশ্রয়। আমি তখন কি করে, লেপ কাঁথা কম্বলে, নিজের স্বপ্নকে আগলে ধরে, কামনার রেতঃপাতে? তুমি তো তোমার মত ভেবে, এটা খুজো ওটা খুঁজো নিজে নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাক, তোমার দৃষ্টির সীমানায় চোখ যায় না, যতদূর আমি দেখি। তোমার না দেখাতে, কত কিছুই যে চাপা পড়ে নীরবে, বড় বেশি অনাদরে। তুমি যদি একবার, চোখ মেলে দেখতে, তুমি যদি একবার, মন খুলে ভাবতে, তুমি যদি একবার, হৃদ মাঝারে খুঁজতে, তুমি যদি একবার, তোমার নিজের দিকে তাকাতে। তাহলে দেখতে পেতে, হড় পোড়ে কিসে? তাহলে দেখতে পেতে, হড় মরে কিসে? তাহলে দেখতে পেতে, হড় হারে কিসে? আমি, আমি তোমাকে, তোমাকেই দায়ী করলাম, আমার আদালতে, আমার বিচারে, আমার বিশ্বাসে, আমার নিঃশ্বাসে, তুমিই দায়ী, তুমিই অপরাধী। তোমার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। খুলে ফেলা উচিত, তোমার পদবির সম্ভার, ঝেড়ে ফেলা উচিত, তোমার শরীরের প্রকৃতির গন্ধ, মুছে ফেলা উচিত , তোমার নিশানার টগবগে রক্ত। যাকে তুমি লালন কর না, যাকে তুমি পালন কর না। তবে কেন তার লেবাস মেখে, মেকি সেজে, এই ছলচাতুরী?

বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

৫:৩৬:০০ PM

সান্তালদের বিয়ে এবং বর্তমান প্রজন্ম

সান্তালদের সংস্কৃতি নিয়ে বর্তমানে ভাববার অবকাশ আছে। কেন? কারণ পরিবর্তনশীল সাংস্কৃতিক ধারায়, শুধু আবেগকে পুঁজি করে সেই সাংস্কৃতিক চেতনা লালন করা বেশ কঠিন। আবেগের চেয়ে আরও বেশি কিছু করনীয় রয়েছে। যেহেতু ধর্মের সাথে সাংস্কৃতিক কর্ম কাণ্ডের বিরাট সম্পর্ক আছে, তাই এ বিষয়ে সমাজে বিশদ আলোচনা হওয়া দরকার। ধর্মীয় বিশ্বাস পরিবর্তনের ফলে, প্রতিটি ধর্মীয় দল, তারা তাদের মত করে এই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড গুলো নির্ধারণ করেছে। যার ফলে, সান্তালদের সামগ্রিক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বিরাট টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। এখানে সমাজকে এগিয়ে এসে একটি জায়গা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই জায়গায় সমাজের যেন মাথা ব্যথায় নাই ।


বিয়ে ঃ

সান্তালদের বিয়ের একটি দৃশ্য 
সান্তালদের বিয়ের জায়গাটা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সেটি হল - ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণ একজন সান্তাল আর একজন সান্তালকে সহজে বিয়ে পর্যন্ত করতে পারছে না, এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর হতে পারেনা।

এর অবসান হওয়া উচিত। নতুন প্রজন্মকে এ জন্যে সোচ্চার হতে হবে।

সান্তালদের বিয়ের সময় মুল জায়গায় ধর্ম খুব একটা ছিল না, দাক বাবলা এর জায়গায় কিছুটা ধর্মের গন্ধ হয়ত ছিল কিন্তু এটা গোঁড়া কোন বিশ্বাস ছিল না। হরক, সনুম সাসাং, ছামডা জায়গাগুলোতে ধর্ম খুব একটা নাই।

Sidur সিঁদুর 

এটা সান্তালদের চুরি হয়ে যাওয়া একটা প্রথা। 
এটি ছিল সান্তালদের বিয়ের একমাত্র প্রধান চিহ্ন।  কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এটি এখন বাঙ্গালি হিন্দু ধর্মে বা সমাজে প্রবেশ করেছে। ফলে অনেক খ্রিস্টান ধর্মের সান্তালরা এটি আর ব্যবহার করতে চান না। এ রকমটা হয়েছে, কারণ  এ বিষয়ে না জানার ফলে। ততমদ্ধেও অনেক খ্রিস্টান ধর্মের সান্তালরা এটি ব্যবহার করছে, আর এ বিষয়টি দেখায় যে, সান্তালরা তাদের সংস্কৃতি বিমুখ হয়নি। 


"সিন্দ্রাধান"

সান্তালদের বিয়ের সব চেয়ে বড় ও মুল জায়গা "সিন্দ্রাধান"। এটা এমন একটা প্রথা যেটা দিয়ে সমাজে প্রকাশ পায় যে, একটি ছেলে এবং মেয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ, তারা এই প্রক্রিয়ার পর থেকে স্বামী স্ত্রী। 

সনাতন সান্তালি বিয়েতে-- দাউড়াতে ( পরে এ বিষয়ে বর্ণনা দেয়া আছে) কণেকে বসিয়ে বর পক্ষের ৪/৫ জন উপরে তুলে ধরে। ঠিক এঁর সামনা সামনি বরকে "ঘড়া" বা কারো কাদের উপর তোলা হয়, যাতে কণের মুখোমুখি থাকে। বর, কণের ঘোমটার উপর দিয়ে আম পাতা দিয়ে জল ছিটান, ঘোমটা খোলেন, তারপর কণের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন। সান্তালি বিবাহে এই প্রক্রিয়াকে সিন্দ্রাধান বলে।

এখানে ধর্মের কোন গন্ধই নাই। যদিও এই ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। কারণ এটা অন্য সংস্কৃতি থেকে এসেছে বা অন্য সংস্কৃতির মত বিষয় সেই জন্যে অনেকে সমালোচনা করে থাকে। কিন্তু এই ব্যবস্থার বিষয়ে আরও ভাবলে হয়ত, ধর্ম বড় কোন বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।

বিয়ে কোথায় হবে?

সান্তালদের ঐতিহ্যগত ভাবে বিয়ে- বিয়ে বাড়িতে "ছামডা লাতারে" ( বর বা কণের নিজ বাড়িতে কলা পাতার ছাউনিতে ) হওয়া উচিত। এটাকে গির্জাঘরে নিয়ে যাওয়ার কোন কারণ আমি দেখি না।

Daura  দাউড়া 

এটি বাঁশের তৈরি ডালা। যাতে কণেকে বসানো হয়। 
খ্রিস্ট ধর্ম মতে এটি ব্যবহারে কোন বাধানিষেধ নাই, তবে খ্রিস্টান ধর্মের সান্তালরা অনেকেই এটা ব্যবহার করছেন না। কেউ কেউ এভাবে যুক্তি দিয়ে থাকে যে, এটি বিদিনদের (সনাতন ধরমালম্বি) ।  বর্তমানের খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী সান্তালরা এটি ব্যবহার করতে পারে। যে আশীর্বাদের জল পুরোহিত তাদের মাথায় ছিটিয়ে দেন, সে রকম আশীর্বাদ Daura, Lota dak কে করা যেতে পারে।

Dak বাপলা 

সনাতনী সান্তালি বিয়েতে যে প্রধান বিষয়গুলো করা হয়, এঁর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা হচ্ছে - দাক (Dak- পানি) বিয়ে। এটি কি কারণে করা  এতে ধর্মীয় বিশ্বাস আমার মনে হয় খুব কম আছে। এখানে অনেক গুলো বিষয় নিদর্শন, চিহ্ন, প্রথা। dak বাপলা বিষয়ে অনেকের অনেক রকম মত আছে। পানিকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক সময় দেখা হয়, এটা দেবতার রূপ ধারণ করে, আশীর্বাদের একটা অংশ হয়। আবার কারো কারো মতে এটা পরিশুদ্ধ করার একটা প্রক্রিয়া। যদি এটা সাধারণ অর্থে অর্থাৎ পরিশুদ্ধতার জন্যে করা হয়, তাহলে খ্রিস্ট ধর্মে বিধিনিষেধ নেই। আমার জানা মতে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বিরা dak বাপলা করে, তবে অনেকে বাস্তব জল ব্যবহার করে, আবার অনেকে রূপক ভাবে এটা করে। 

দাউরা আর সিন্দূরের পরিবর্তে - সোনার আংটি, সাদা গাউন আর সাদা পোশাকধারীর সামনে প্রতিজ্ঞা। ব্যাপারটা যেকোনভাবে হয়ত ব্যাখা করা যেতে পারে, তবে এটা কোন ভাবেই সান্তাল সংস্কৃতির সাথে যায় না। তাহলে করনীয় কি?

এখানেই আলোচনার অবকাশ রয়েছে। সামাজকে বসে এটা ঠিক করতে হবে। কিন্তু সমাজ কোথায়? সমাজ তো থাকে গির্জা ঘরের দালানে অথবা আর একটা সমাজ যেটা ঠুঁটো জগন্নাথ, থাকে কুলহি ধুড়িতে, হাণ্ডি পেলে সতেজ হয়ে উঠে।

সাংস্কৃতির বিষয়ের সাথে খ্রিস্টান ধর্মের একটা জায়গায় পার্থক্যগত দিক আছে। সেটা হল বিশ্বাস।
এখানে খ্রিস্টান ধর্ম যে বিষয়টির উপর জোর দেয়, তাহলো আমি বা আপনি কি খ্রিস্ট ছাড়া অন্য কিছুর উপর বিশ্বাস স্থাপন করছেন বা করছি কিনা? 


। 



বিয়ের জায়গাটাতে খ্রিস্টান ধর্মের সান্তালরা, আদি সান্তালদের অনেক কৃষ্টি পালন করে আসছে। এ ক্ষেত্রে যত টুকু পালন হচ্ছে না, এটা খ্রিস্টানরা ধীরে ধীরে করছে এবং সংস্কৃতির এই জায়গাটাতে খ্রিস্টানরা ফিরে আসছে বলে আমার মনে হয়।
১২:২৩:০০ PM

আপস ডাউনলোড

আপনার মোবাইলে  ঘনকুয়াশা বাস্কের আপস বিনা খরচে ডাউনলোড করে খুব সহজেই ঘনকুয়াশা বাস্কের বিভিন্ন লেখা পড়তে পারেন। 


কি ভাবে ডাউনলোড করে ইন্সটল করবেন নিচের  পদ্ধতি অনুসরণ করুন । 


1. HTML5 Version of your App is now Live at Appy Pie Market Place
Please refer to the below link

2. For Installing your Android App from Browser
Please follow these steps to install your app on your Android Device. To start with, please ensure that the Unknown sources box is checked (in the browser) to allow installation of non-Market applications.

1) Simply Open the below URL on your Android Phone Browser http://d2wuvg8krwnvon.cloudfront.net/appfile/d47f651f2650.apk

2) This will download the .apk file.

3) Tap install and the app will be installed onto your device. Once the app is installed you can delete the .apk file which you had downloaded as it’s no longer needed.

3. For installing your iPhone App from Safari Browser

Please follow these steps to install your app on your iPhone:

1) Simply Open this URL on your iPhone Safari Browser https://drive.google.com/file/d/0BxvZJNc6_eCZSDhyMmVQcU1wWEE/view?usp=sharing


2) Click the Launch button which will open a dialog box that will say 'ghonokuasha Baskey would like to install "Ghonokuasha Baskey"

3) Tap install and the app will then install onto your iPhone

4) If you are getting “Untrusted App Developer” message when trying to run Appy Pie’s test App on iPhone then follow the instructions as given in this link.


অথবা সরাসরি ডাউনলোড করুন ঃ 

এন্ড্রয়েডের জন্যে ডাউনলোড ঘনকুয়াশা বাস্কে এন্ড্রয়েড আপস

আইফোনের জন্যে ডাউনলোড করুন  ঘনকুয়াশা বাস্কে আইফোন

রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৬

১১:৩৩:০০ AM

বাতাসের সাথে কথোপকথন

সেদিন ছিল আধো পূর্ণিমা,
আমি ইট কাট পাথরের জঙ্গলে বসে, দুর নিয়নের দিকে তাকিয়ে, সীসা মিশ্রিত বাতাস এসে, কানে কানে বলল- কি ভাবছ? আমি বললাম, হড়দের নিয়ে। ঠিক তখনি দুর্বার দমকা বাতাস, ঝাটকা মেরে, বলল - চুপ কর, ভাবনা থামা, পারবি না, পারবি না তুই। আমিও তখন উত্তপ্ত, হুঙ্কাকারে বললাম, কেন! কেন!! কেন পারবো না? আমিও তো মানুষ, আমারও গায়ে লাল রক্ত। হাসির চলে, বিষ বাস্প উড়িয়ে জবাব আসে, মীরজাফর! মীরজাফর!! মীরজাফর!!! মীরজাফর তোর আসে পাশে, মীরজাফর তোর ঘরের মধ্যে। মীরজাফরের জন্যেই তো দু শোঁ বছরের কলিনতা। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবি, ইতিহাস তোকে লন্ঠন দিয়ে খুঁজবে। আমি তখন বেসামাল, রক্তের গতি সর্বোচ্চ, দারিদ্রতা আছে, পেটে ভাত নাই, তাই যে যা বলে তাই করি, জীবনের প্রয়োজনে একজনকে বেচি, এক জাতিকে বেচি, বেচি বার বার অনেকবার। কেউ কেউ নিজের টানে, জীবীকার বাণে, রাস্তায় নামে, বিক্রির তরে, বিক্রেতার সাজে। দর কষাকষি, বিকিকিনি, জীবনের রথে উঠার তরে, আদিবাসীটাই পুঁজি, ভুখা নাঙ্গা মুখগুলিই তাদের পণ্য, ব্যবসায়িরা তো থাকবেই সামনের কাতারে, প্লাটফরমে, বৈঠকে, প্রতিনিধিত্বে। দেশে বিদেশের আন্তর্জাতিক ফোরামে। বাতাস আমায় চিৎকার করে বলে, মূর্খ ! কন্ড মূর্খ তুমি!! দেয়ালের কোনে বসে কল্পনার ছবি আঁক, তোমাকে বেচবে না তো বেচবে কাঁকে ? উঠ রাস্তায় নামো, ঝাণ্ডা ধরো উঁচিয়ে, চিনবে তোমায়, মানবে তোমায়, সাহসীরে কেউ করে না নত, সাহসীর নাই ভয়, সাহসীর নাই ক্ষয়।

সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

৬:০৭:০০ PM

বহুরুপি

যখন আমরা বলি,
তখন কত লুকোচুরি।
যখন ওরা বলে,
তখন কত হাসির ঝলকানি।
নিজে নিজের মধ্যেই চোরাকারবারি,
ভাবের ঘরে কর চুরি।

এ চুরি চিরকালই চোর বানিয়ে রাখে,
অজান্তেই বাধে এক দাসত্বের বাধন।

চার দেয়ালে বন্দি যখন,
ভেবো না  কেউ দেখছে না,
বনের বাঘে যত না খায়,
তার চেয়েও বেশী খায়,
মনের বাঘে।

যতই আড়াল কর নিজেকে,
মেকি হাসির মায়াজালে,
একদিন তোমার মনের বাঘই,
গিলে ফেলবে তোমাকে।
৬:০৬:০০ PM

একদিন আমিও

যদিও একদিন,
ভাঙা খাটে জীর্ণ বিছানায়,
কত স্বর্ণালীর স্বপ্ন বুনন।
ভাঙা জানালার ফাঁকে,
দুর নীলিমার দিকে চেয়ে থাকা,
শুধুই হাতছানি।

ভাঙা জানালার পাশ দিয়ে,
বয়ে চলা চুড়ির রিনিঝিনি শব্দ,
এ পাশ ও পাশ করা ভাঙা খাটের শব্দ,
নাকে ভেসে আসা পারফিউমের গন্ধ।
শুধুই হাসফিস করে উঠা।

তোমার তখন মৌ বসন্তের কাল,
ফুলে ফুলে সুবাসিত বাগান,
থরে থরে সাজানো পুষ্পরাজি,
আর শত ভ্রমরের আনাগোনা,
মধু বসন্তের গান।

আজ সময় গিয়েছে চলে,
সময়ের স্রোতে,
ভাঙা জানালা, ভাঙা নেই।
শেগুন কাঠের নরম পালঙ্কে শুয়ে,
নিথর চোখে চেয়ে থাকা।
চুড়ির শব্দের বদলে,
গাড়ীর হর্ণে মাতোয়ারা,
নিজ দেহ থেকে গন্ধ ছড়ায়,
দামী পারফিউমের।

ঋতু বদলের দিনে,
বদলে যাওয়া সময়ের স্রোতে,
বড্ড হাসি পায়,
আজব তোমার নব্য বেশভুশায়।

একদিন আমিও,
ঘুরে দাড়ানো দাড়কাক হয়ে,
আমার আকাশ খুলে,
নীলিমার দিকে, হাতছানি নয়!
অবগাহন সুখে,
ভাসাবো ভেলা।
৬:০৫:০০ PM

খেলাঘর

অনেক কষ্টের কান্না দেখতে দেখতে, 
এখন আর কান্না পায় না। 
অনেক হাসির কান্ডকারখানা দেখতে দেখতে,
 এখন আর হাসি পায় না।

 ঐশ্বর্যের মোড়ানো সাফল্য,
 সত্যিকার সাফল্য নয়,
 এত শুধু লোক দেখানো,
 বাহবা প্রত্যাশার লোভ।

অনেক সুখের অভিনয় করে,
 ঘরের কোণে নিভৃতে কাঁদে।
 তবুও মানুষ ছুটে চলে,
 জৌলুসের পিছে।

অনেক হাসির অন্তরালে,
লুকিয়ে থাকে কান্না।
তবুও মানুষ হাসতে থাকে,
বাঁচার তাগিদে।

জগতেরই খেলাঘরে,
কতই রঙের খেলা,
 েকউ আমরা সঙ সাজি,
হৃদয়টাকে ভোলানোর কারসাজি।

জীবন ভোগের আকুতি,
আমৃতু অবধি,
তবুও মানুষের শেষ সম্বল,
মাটির সাথেই সন্ধি।
৬:০৪:০০ PM

প্রেম কী?

প্রেম, হুড তোলা রিক্সায় খুনসুটি,
প্রেম, আলো আধারি গলির কোনে দুষ্টুমি,
প্রেম, পার্কের ঝোপের কোনে চুপচাপ বসে থাকা,
প্রেম, কিশোরীর চোখের ছলছল চাহনী।

প্রেম, না বলা কথার আলোড়ন,
প্রেম, পৌড়ত্বের শেষে ফিরে পাওয়ার আশা,
প্রেম, শেষ হয়ে যাওয়া সিগারেটের বাকী অংশ।

প্রেম, সব কিছু পাওয়ার পর আরও তৃষা জাগিয়ে রাখা,
প্রেম, ফেলে আসা সময়ের হাতছানি,
প্রেম, অন্ধের মত ছুটে চলা,
প্রেম, শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কিছু থেকে যাওয়া।

প্রেম, যৌবনের পাগলামী আর পৌড়ত্বের ভাবনা,
প্রেম, কিশোরীর চুম্বনের প্রত্যাশা,
প্রেম, ফিরে ফিরে আসার আদম্য ইচ্ছা।

প্রেম, বদ্ধ ঘরে  জৈবিক ক্রীড়া,
প্রেম, উত্তপ্ত নিশ্বাসের ঝড় তোলা,
প্রেম, ঘামে ভেজা পরিতৃপ্ততা।

প্রেম, শেষ প্রহরের মিষ্টি সুধা,
প্রেম, ভোরের শিশিরে ভেজা ফুলেল শোভা,
প্রেম, সকালের সুর্য্য উঠা।

প্রেম, দুপুরের আলস বেলা,
প্রেম, বিকেলের গোধুলীর মায়া,
প্রেম, সন্ধ্যা তারার ভালাবাসা।

প্রেম, জোনাকীর সাথে সন্ধি করা,
প্রেম, রাতে বিছানার সাথে সহবাস,
প্রেম, ঘুমের মাঝে হারিয়ে যাওয়া।

প্রেম, বিচ্ছেদের মধ্যে বেঁচে থাকা,
প্রেম, সম্প্রদান কারকে শূন্য বিভক্তি,
প্রেম, ডুবে ডুবে জল খাওয়া।

প্রেম, ব্যার্থতার জালে বুনা রঙিন সুতা,
প্রেম, প্রতীক্ষার প্রহর গোনা,.
প্রেম, বুঁদ হয়ে থাকা নেশা।

প্রেম, ঝাল আর মিষ্টির বাসনা,
প্রেম, খাওয়ার পরও অতৃপ্তের স্বাদ।

প্রেম, আবার নতুন করে শুরু করা।

৬:০৩:০০ PM

হৃদয় প্রহরী

আমি ডুব মেরে থাকি আমার মাঝে,
আর তুমি?
বদ্ধ ঘরের অন্ধকারে-আপনলীলায়।
তোমাকে নিয়ে কাব্য হয় না,
কিন্তু আমাকে নিয়ে উপন্যাস।
তাও আবার ভিলেনরুপী।

তোমাদের কত শঙ্খ দুল বেজেছে, বেলায়-অবেলায়।
আমি তখন ক্ষুধার্ত মানব,
জীবন আর জীবিকার।
একটি সিড়ি ভাঙতেই,আবার সিড়ি তৈরী।
একটি স্বপ্ন ছুঁতেই,
আবার স্বপ্ন ভঙ্গ।
আমার এ ভাঙ্গাগড়ায়, তুমি সয়ারি হলে না।

শুধু দুর থেকে দেখে,
মায়া কান্নায় চোখ ভেজালে।
নয়তবা আড্ডায়-আলোচনায় বার বার আমাকে টানলে,
আমি তখন বাঁ-পায়ের তলায় চুলকিনিতে,
তোমাকে স্মরণের দুয়ারে এনে,
ভালবাসা কত পেয়ালা ভরে,
খেয়েছি সুধা অমৃত মনে করে।

ভেবেছিলে আলোচনায়-আলোচনায় ছিন্নপাতার মত,
হারিয়ে যাব,সময়ের স্রোতে।

আর তখন তুমি মুক্ত কুহকের মত,
ডালে-ডালে পাতায়-পাতায় চরবে নির্ভিগ্নে।
তোমার চলার পথে,বলার পথে,
বাধা হয়ে দাড়াবার আর কেউ নেই,
কারন তোমার যা ভাললাগে,
তোমার যা মনে আছে,
তোমার যতটুকু ইচ্ছের ঝুড়ি,
জমিয়ে রেখেছ, তোমার মত করে।

ভুল! ভুল!! ভুল!!!
স্বপ্নগুলো থাকে স্বপ্নের মত করে,
এক মৃতু - স্বপ্নের মৃতু নয়।

প্রহরীরা থাকে জেগে,
যো্দ্ধারা যুদ্ধে
যতই বাঁকাপথের চোরাগলিতে আমাকে রাখ,
আমি ফিরে আসব, ফিরে আসবই,
আসবই তোমার ঐ ঘুমোধরা চোখের পাপড়ির তলে,
তোমাকে জাগিয়ে রাখতে।

রুদ্রু তাপে কিংবা আগুন ঝরা বসন্তের দিনে,
অদৃশ্যের ছায়াতলে,
তোমার বিবেকের ধারঘেঁষে,
শশ্মানের কড়িকাঠে,
কফিনের শেষ পেরেকে,
তোমার অস্তিত্বের মাঝে,
ঠিক জীবনের সায়াহ্নে,
আমাকে পাবেই-
তোমার শেষ নিঃশ্বাসে।
৬:০২:০০ PM

স্বপ্ন বুনা

যে ভাবেই স্বপ্ন বুনো,
স্বপ্নের আধাঁরে অনেকটা পথ,
স্বপ্ন ঘোরে রঙিন সব,
ক্ষনিক আনন্দের মাতোয়ারা রব।

সবুজ ঘাঁসে শিশির মন,
মুক্ত মনের কত আলোড়ন,
কখনো উড়ে রঙিন প্রজাপতি হয়ে,
কখনো ভাসে নীলাকাশের কোনে।

আশার পাখি আশায় বুক বাঁধে,
চঞ্চলও মন কত কি সাধে,
নিয়তি নামক নীল লালসা,
অযথাই বাঁড়ায় মনের পিয়াসা।

একদিন ঘুম ভাঙ্গা সকালে,
রোদ্রের খরতাপে,তন্দ্রা টুকু কেটে যায়,
দক্ষিনা বৈরী বাতাসে।
দরজার চৌকাঠে বসে,
নিয়তির দুষণ, দুষণে,
জীবনের বাকীটা সময়,
জমে রয় অশ্রু চোখের কোনে।
৬:০০:০০ PM

লাগাম

যাহোক যেভাবেই হোক
দুরের পথকে করো খাটো।
ক্লান্ত পথিক ক্লান্ত মনে,
দূর্গম পথে বড়ই অশান্তি।

তুমি ছুটন্ত ঘোড়ার সওয়ার
তোমারই হাতে লাগাম।
টেনে ধরো না, টেনে ধরো,
টেনে ধরো লাগামখানি,
জীবন তো প্রায়ই যায় যায়।

সেই কবে হঠাৎ দুর্ঘটনায়,
হৃদয়ের একপাশটা দগ্ধ হয়েছে,
তোমার হিংসের আগুনে।

আমি তো হৃদয় পোড়া
ক্ষতয় ক্ষতয় জর্জরিত,
তার উপর তোমার সান ঘোড়া,
আমারই উপর দিয়ে ছুটে চলা।

টেনে ধরো না, টেনে ধরো,
টেনে ধরো লাগামখানি,
জীবন তো প্রায়ই যায় যায়।

জীবনের শেষান্তে দাড়িয়ে,
তোমার অট্টহাসিতে,
শুধু বিষ, শুধু বিষের ছটানি।

তোমার আবেগী ডং,
দুরের পথে বড় বেশী যন্ত্রনাময়,
অহমটুকু মুছে, একটু দাড়াও,
একটু নাও বিশ্রাম।

জীবন জীবনের কাছে আটকা,
তুমি আমি যতটুকু দুরত্বে,
তার চেয়েও কম দুরত্ব,
তোমার চলার পথ।

ছোট করো, ছোট করো,
তোমার পথ।
টেনে ধরো, টেনে ধরো,
টেনে ধরো লাগামখানি,
জীবন তো প্রায়ই যায় যায়।  
৫:৫৯:০০ PM

ANTONY SOREN-mit́ ṭe̠ć thir somaj kạmiyab ho̠ṛ


Santal Students' Union - sasu, Bangladesh re̠naḱ pạhil conference o̠ka do̠ Beldanga, Birampur, Dinajpur re̠ huy le̠n. O̠na Conference huy lahare̠ kạmi o̠ḱte̠ ko̠ń disạie̠da.

Baṅladiso̠m re̠ aema district daṛan huyuḱa, iń ãr Efraim Soren, bagie̠t́ bo̠ń Antony Sorenaḱ YAHAMA 100CC Phuḍu sical liń hatao ke̠da. Un re̠ iń do̠ń me̠ne̠t́ tãhẽ kana, paseć Uncle (Antony Soren) do̠ jãhãnaḱ e̠ ikạoa se̠ me̠na, me̠nkhan ạḍi kusi rạskạ te̠ e̠mat́ linai. O̠na o̠ṛaḱ re̠ mit́ hapta le̠ka tãhẽ, jo̠m ńu ãr aema bo̠ge̠ batla ko̠ uni ṭhe̠n khoć ńamo̠ḱ kan tãhẽ kana. O̠na conference lạgit́ hõ ạḍi lạṭu contribution tãhẽ kan taya. Jãhã o̠ḱte̠ ge̠ uni ṭhe̠n calao le̠n khać, un o̠ḱte̠ ge̠ uni do̠ ạḍi kusi rạskạ te̠ paisa se̠ jãhãnaḱ e̠ e̠mo̠ḱ kan tãhẽ kanai.

Ińaḱ disạ re̠ ale̠ o̠ḱte̠ tinạḱ dho̠m Sandes le̠ chapae̠t́ kan tãhẽ kan, un o̠ḱte̠ ge̠ uni do̠ contribution e̠ e̠mo̠ḱ kan tãhẽ kana.

Iń sãote̠ calae̠n bar bo̠cho̠r laha re̠ hõ katha huy le̠na, o̠ka okt́e̠ uni do̠ Dhaka re̠ treatment lạgit́ e̠ heć leń. Calaoe̠n bo̠cho̠r dhaka re̠ heć le̠n re̠ iń busy tãhẽ kante̠ dekha baṅ huy le̠na.

Ado̠ tiń o̠ḱte̠ ge̠ katha huyuḱ kan tãhẽ kana, uni re̠ge̠ ạḍi rạskạ se̠le̠t́ kathae̠ ro̠ṛe̠t́ kan tãhẽ kana. ar o̠na rạskạ do̠ nij ṭhe̠ć ho̠ pasnaoḱ kan tãhẽ kana.

Sạrige so̠majre̠ ạḍi thir tãhẽ ho̠ṛ hõ so̠maj lạgit́ aema ko̠ kạmiya. O̠na do̠ Antony Soren uncle se̠ć ko̠yo̠ḱ le̠khaḱ ńe̠l ńamo̠ḱa. So̠maj re̠ thir kate̠ć aema kạmiań mit́ ṭe̠ć kạmiyab ho̠ṛbo̠ń at́ ke̠de̠ya.

No̠a duḱ samṛao lạgit́ unire̠n ghãro̠j ho̠ṛko̠ sanam daṛe̠aniḱ daṛe̠ye̠ e̠mako̠ ma.
৫:৫৮:০০ PM

কলঙ্কিত ভালবাসা

ভালবেসে কলঙ্কিত হয়েছি আমি,
 কলঙ্কিত করেছি তোমাকে। 
এখন এ পোড়া মুখ নিয়ে যাবে কার ঘরে?
যেখানেই যাবে-
দেখবে ফিরে ফিরে আসছি আমি,
শয়নেও ঘুম হবে না।
স্বপনেও তৃপ্তি পাবে না।
সাথীর শক্ত বাহুতেও নিরাপত্তা পাবে না।
যখনি চোখ বুজবে,
আমাকেই দেখবে।
যখনি ভালবাসার নীল সাগরে ডুববে,
অন্ধকারাচ্ছন্ন সুখের বালিগুলোর উপর,
আছড়ে আছড়ে পড়বে।
আমার ভালবাসার নীল দংশনের ক্ষতগুলো,
বারে বারে তোমাকে ব্যথা দিবে।
বারে বারে তোমাকে দগ্ধ করবে।
কলঙ্কিত মন,
কলঙ্কিত শরীর,
কলঙ্কিত ভালবাসা নিয়ে,
পালাবে কোথায়?
ভালাবাসা যে তোমাকে পালাতে দেবে না।
তোমাকে লুকাতে দেবে না,
তোমার ক্ষতগুলো,
আমার ক্ষতগুলো,
যতই সুখের জলে স্নান কর না, কেন?
এ কালি মুছবে না,
কোনদিন মুছতেও পারবে না।
কারণ কলঙ্কিত মন,
কলঙ্কিত শরীর নিয়ে,
সুখের সমাধি রচনা করা যায়,
সুখের পৃথিবী নয়।
৫:৫৭:০০ PM

হৃদয় ঘন্টা

একটি সোনাঝরা আকাশ,
নীলাদ্রির নীল গগণ ছুঁয়ে,
যতটুকু নীল দৃষ্টি,
অবিশ্বাস অনাস্থা ভেদ করে,
যদি কখনো বেরিয়ে আসতে পার,
তবে চুরিসারে হৃদয়ের ঘন্টাটা বাজিও।

আমি আসব, আমি অবশ্যই আসব,
চুম্বনরত সুখের ক্ষণ ছেড়ে,
দূর্বিপাকের উদাসি বাতাসকে ঠেলে,
উল্টো স্রোতের কামনার ঢল ছেড়ে।

ও বাড়ীর মেজো মাসি,
এ পাড়ার দিদি,
কত কান মন্ত্রনায়,
দিশাকে করেছে বিদিশা,
চিন্তাকে করেছে অচিন্তা,
প্রেমকে করেছে হিংসা,
ভালবাসাকে করেছে ভাল বাসা,
তোমাকে করেছে মতিভ্রম চৈতন্য।

আমি কথা দিলাম, সত্যিকারের কথা দিলাম,
যতটুকু তোমার চৈতন্যে পড়েছে মরিচা,
মুছে দিব ভালবাসার নীলজলে,
ধুয়ে দিব সুখের পরশ ছুঁয়ে ছুঁয়ে।

পড়বে না মনে কখনও,
নীল কষ্টের বিষে,
তুমি ছিলে বিষাক্ত।
কান্নার বালিরেখাগুলো,
মুছে যাবে প্রেমের প্লাবনে,
খুজেও পাবে না কখনও.
তুমি ছিলে অবয়ার কাফন পড়ে।

শুধু চুপিসারে হৃদয়ের ঘন্টাটা বাজিও,
আমি জেগে উঠবো,
আমি উঠে দাড়াবো,
শুধুই তোমাকে সুখের সাগরে ভাসাতে।

(আমার প্রিয় বন্ধু সৈকত হাসানের জন্যে। তার দীর্ঘ দিনের ভালবাসায় এমন উছাটন, আমাকে নিজেকেই উছাটনে ফেলে দিয়েছে। বন্ধু লাভ ইজ পাওয়ার, জাস্ট লাভ ইট, ইউ উইল গেট পাওয়ার, দ্যাট’স পাওয়ার লিড ইউ ইন দ্যা রিয়েল লাইফ। ভাল থেকো)
৫:৫৬:০০ PM

অসম প্রেম

আমি না একা বেরুতে পারি না।
মা বেরুতে দেয় না।
আমার নিজেরও ভয় লাগে।

ও তাই নাকি?
কেন তুমি ছোট নাকি?

এই ! তুমি জান?
গতকালকে না আমি  পাশের বাড়িতে
গিয়ে দেখি ----
ও মা কতো পুতুল,
ছোট খরগোশটা উঠান জুড়ে,
নেচে বেড়াচ্ছে।
আমার না খরগোশটাকে,
খুব আদর করতে  ইচ্ছে করল।
কিন্তু জানো?
ওরা না আমাকে ধরতেই দিল না।
আমার খুব কান্না পাচ্ছিল।

ও তাই!
তাহলে তোমার জন্যে একটা খরগোশ কিনে দেই,
গোটা দুয়েক বড় সাইজের পুতুল,
তুমি দিনরাত থরগোশ পতুল নিয়ে খেল,
আর আমি তোমার খেলার গল্প শুনবো।
হ্যাঁ, ঠিক আছে।

সত্যি বলছ!
তুমি আমায় খরগোশ পতুল কিনে দেবে।
কবে কিনে দেবে গো?
বল না? কবে দেবে?

দেব।
ষোড়শ বসন্তে তুমি এখনো  পতুল খেলো,
আর আমি পোড়ি ফাগুনের আগুনে,
হৃদয়ের দহন দাউ দাউ জ্বলে,
নিভার তরে ছুটি তোমার কাছে।
কিন্তু, একি!

কি বলো তুমি?
আমি তো বুঝি না কিছু।
আমার না খুব ঘুম পাচ্ছে,
ঘুমাই।

আচ্ছা।

বাই।

কবির নির্ঘূম রাত,
ঘনকালো থেকে আরও অন্ধকার,
আগামীর পথটাও বড় বেশী অনিশ্চিত,
শুধু ভালবাসার বিনিময়ে,
ভালবাসাটাকে আগলে রাখা।
৫:৫৬:০০ PM

ব্যবধান

আমায় বাঁধতে চাও,
বাধঁ।
লোহায় লোহায় বেড়ী পরিয়ে,
আমাকে রাখতে চাও।
রাখ।
আমায় বন্দি করে,
তুমি উড়বে আকাশে-বাতাসে,
আর আমি দুচোখ ভরে দেখবো।
উড়ো।
তোমার লালায়িত স্বপ্ন বুকে,
যতটুকু খুশি, ততটুকু হাসি,
হাঁসো।
আমায় বেড়ে উঠাকে,
তুমি কটাক্ষ কর,
করো।
এক দিন,
শুধু দিন,
একটি চান্স,
শুধুই একটি চান্স।
তারপর।
তোমার আমার পার্থক্য,
করে দিবে প্রকৃতি।
তুমি তখন,
আমি এখন যেমন।
আমি তখন,
তুমি এখন যেমন।
৫:৫৫:০০ PM

কখনো তো এ রকম হয় না

আজকে হঠাৎ করেই খুব খারাপ লাগছে। 
কেন লাগছে বলতে পারছি না। 
অনেক খুজেও পাচ্ছি না, 
কেন এমন  লাগছে। 
কখনো তো এ রকম হয়নি।
কখনো তো এ রকম হয় না।  

এমনিতেই শরৎ আমার প্রিয়,
আধো শীত আধো তাপ,
সকালের শিশির মেশা হিমশীতল হাওয়া,
অপূর্ব ছন্দের আবহে মাতোয়ারা সকাল।
আর মিষ্টি সুরেলা ঝরা পাতার ছন্দ।

তারপরও আজকে হঠাৎ করেই খুব খারাপ লাগছে।
কেন লাগছে  বলতে পারছি না।
অনেক খুজেও পাচ্ছি না,
কেন  এমন লাগছে।
কখনো তো এ রকম হয়নি।
কখনো তো  এ রকম হয় না।

সদ্য জেগে উঠা সবজির ডগায়,
এ কোন রুপের ঝড়,
ধু্লোর সাথে রোদের মাতামাতি,
ডালে ডালে কাঠবেড়ালীর নাচন,
বড্ড বেশী ছন্দে ভরা শরতের কাহন।

তারপরও আজকে হঠাৎ করেই খুব খারাপ লাগছে।
কেন লাগছে  বলতে পারছি না।
অনেক খুজেও পাচ্ছি না,
কেন এমন লাগছে।
কখনো তো এ রকম হয়নি।
কখনো তো  এ রকম হয় না। 
৫:৫২:০০ PM

তৃষ্ণা

ভীষণ রকম অগোছালো মন,
তৃষ্ণায় কাতর,
যেমন করে চৈত্রের খরতাপে-
মাটি পুড়ে, আকাশ পুড়ে,
বাতাসে আগুনের দাউ দাউ।
ঠিক তেমনি করে পুড়ি,
ঠিক তেমনি করে জ্বলি,
শুধু তৃষ্ণায়- পিপাসায়।

বিশ্বাস কর- সত্যি বলছি! বিশ্বাস কর।
এভাবে আগে কখনও তৃষ্ণায়-
পিয়াসায়, কাতর হইনি।
আজ বড্ড বেশী তৃষ্ণার্ত,
বড্ড বেশী পিপাসিত।

ঠিক তোমায় বোঝাতে পারছি না!
তুমি কি কখনও--
ছুটন্ত ঘোড়াকে হাঁপিয়ে গিয়ে দাঁড়াতে দেখেছো?
তুমি কি কখনও--
ক্ষুধার্ত বাঘটাকে হন্যে হয়ে ছুটতে দেখেছো?
যদি দেখে থাক, তবে অনুভবের দুয়ারটা খোল,
মনের দু’চোখ বাড়িয়ে দাও।
তাহলে হয়ত বুঝতে পারবে-
পিপাসায় কাতরতা কি?

ছি: ! তোমাকে এসব বলছি কেন?
তুমি তো পিপাসিত নও।
তুমি তো তৃষ্ণার্ত নও।
তুমি তো মনের ঘরে, ডুব দিয়ে-
জলকেলি খেলো।
আর আমি ! বোকার মত-
তোমাকে দুর পাহাড়ের গল্প শোনাই।
আমার এ বোকামি-
তোমাকে খুব হাঁসাচ্ছে না!
খুব মজা পাচ্ছ, তাই না!

কারও বুকের তৃষ্ণা নিয়ে,
তোমার মনে কাব্য হতেই পারে।
৫:৪৮:০০ PM

ওদের জাগিয়ে দেও

মাগো যন্ত্রনায় আর কাতরাতে চাই না,
চাই না, আ-উহ্ করে সময়টাকে এড়াতে।

ওদের লোলুপ চোখের দৃষ্টি,
ওদের হিংস্রতার থাবা,
ওদের লোভাতুর আকাঙ্খা।
আমায় ঘুমাতে দেয় না,
আমায় শান্তিতে থাকতে দেয় না।

মাগো ও মা-
তোমার দামাল সন্তানদের,
জাগতে বল,
উঠতে বল।

মা মাগো-
তোমার সন্তানরা না উঠলে,
ওরা আমাদের নি:শ্ব করে দিবে,
ওরা আমাদের তোমার আচল থেকে ছিনিয়ে নিবে।

মা ও মা-
তোমার সন্তানদের বলো-
বলো না মা-
ওরা আর কতকাল নিজের জন্য,
নিজেকে নিয়ে,
পুতুল খেলায় ব্যস্ত থাকবে।
ব্যস্ত থাকবে ভোগ পিড়ায়,
ব্যস্ত থাকবে জীবিকার চিন্তায়?
ব্যস্ত থাকবে রঙিন চশমা পরে?

মা ও মা তুমি শুনছো-
শুন না মা-
ওরা আমাদের নি:শ্ব করতে চায়।
হত্যা করে আমার ভাইকে,
ছিনিয়ে নেয় আমার বোনকে,
সোনার ফসল ফলাই-
সেই মাটিতেই রক্ত ঝরায়।

মা মাগো-
ওদের জাগতে বল,
ওদের উঠতে বল,
ওদের জাগিয়ে দেও।

জীবন শুধু এখনই নয়,
এর পরও জীবন আছে,
বাচঁতে হলেও জীবন লাগে।
বাঁচার ঠাঁই টুকু হারালে কি,
সেই জীবনকে জীবন বলে?

চিড়াকুঠায় আজ রক্ত ঝরে,
ময়নপুরে বাবুলের গলা কাটা পড়ে,
ঢুডূ আলফ্রেড অভিদিও’র রক্ত,
মুছে যেতে বসেছে নিভৃতে।

মা মাগো-
আমার যে আর ঘুম আসে না,
আমার যে আর দিন কাটে না।
মা মাগো-
ওদের জাগিয়ে দেও।
ওদের জাগিয়ে দেও।।
ওদের জাগিয়ে দেও।।।
৫:৪৮:০০ PM

ভালবাসা, তুমি কি শুধুই দক্ষিণা হাওয়া?

ভালবাসা, তুমি কি শুধুই দক্ষিণা হাওয়া,
বসন্তে দোলা দিয়ে যাও,
চৈত্রে বিলিন।
বৈশাখের তান্ডবে লন্ডভন্ড হৃদয়।
জৈষ্ঠ্যের খরতাপে পোড়াও দেহমন।
আষাঢ়ে আবার কান্নার রোল।
শ্রাবনের বৃষ্টিতে ভেজাও তনু মন,
কান্নার লোনাজলে ডোবাও যৌবন।
ভাদ্রের এক পলশা বৃষ্টিতে,
দাও না তো মনের দীপ্ত জ্বালা মুছে !
আশ্বিনে এসে বিষের বিষে,
কার্তিকে তোমার  একি খেলা?
অগ্রায়নে কাঁপন শুরুর পায়তারা।
পৌষে আবার শীতল।
মাঘের শীতে বাঘে পালায়,
বিয়ের কথা নয়।
ভালবাসা, তুমি কি শুধুই দক্ষিণা হাওয়া?
মাসে মাসে  শুধুই কি আসা যাওয়া?
৫:৪৭:০০ PM

ভালবাসা উপমা নয়

তুমি শ্রাবণের বৃষ্টি হও
আমি তা চাই না।
তুমি বয়ে চলা নদী হও,
তাও আমি চাই না।
বসন্তের দিনে কোকিল হও
এও আমি চাই না।
তুমি প্রকৃতির কোন কিছুই সাজো,
তাও আমি চাই না।
আমি চাই-
তুমি যাও চাও, তাই হও।
শুধু হৃদয়ে মিশে থাকা,
রক্তের প্রতিটি কণা হয়ে,
শ্বেতকনিকা কিংবা লোহিতকণিকা।
প্রতিটি ফোটায় ফোটায়,
আমি অক্সিজেন হয়ে,
শুধু হৃদয়টাকে বাঁচাতে চাই।
বাঁচাতে চাই স্বপ্ন টাকে।
বাঁচাতে চাই আমাকে, তোমাতে।
৫:৪৬:০০ PM

অনুভবের দুয়ার

কি করে বলি, তুমি যে আমার কী?
শুধু ভেবে ভেবে  সময় যে চলে যায়।
দিন আসে দিনের সুরভী নিয়ে,
রাত আসে শুধু তোমার ভাবনায়।

চলতি পথে আপন মনে,
সাজায় তোমায় কল্প বনে,
যেখানে তুমি রানী, আমি রাজা।
 প্রেম আমাদের সুখের প্রজা।

ফাগুন আমায় কত কি যে বলে,
চুপি চুপি কানে কানে,
দক্ষিণা হাওয়া এ কি সুর তোলে,
আনমনা একলা মনে।

বলতে পারি না, কতটুকু আছ হৃদয়ে,
শুধু অনুভবের দূয়ার ছুয়ে,
লেখা তোমারিই নাম প্রতিটি অক্ষরে,
লেখনী থেকেও আরো গভীরে।

যে নাম লেখা হয়েছে বুকে,
মুছবে না কোন ঝড় বাদলে,
যতদুরে থাক যেভাবেই থাক,
আমি আছি তোমারই মাঝে।

মনে কর না এ আমার কাব্য,
মনে কর না এ আমার আবেগী গদ্য,
ভালবাসার রং দিয়ে সাজানো হৃদয় নিয়ে,
সুখেই তো আছি ভালবাসাটাকে সঙ্গী করে।
৫:৪৬:০০ PM

ভালবাসি, বড় বেশী ভালবাসি

নরম দুটি হাত ছুঁয়ে,
অপলক দৃষ্টি মেখে,
বলা হয়নি, বলা হয় না-
ভালবাসি বড় বেশী ভালবাসি।

যেমন করে নুপুর বাজে, পায়েরই  ছন্দে।
তেমন করে প্রান নাচে মনেরই আনন্দে।
তবুও বিষাদ আসে, আনমনা কোন কারণে,

কোন কারণে, কোন কারণে,
ভালবাসিই বলেই কি, পিছুটান বলনে।

পাশাপাশি দাড়িয়ে,
হাতে হাত রেখে,
বলা হয়নি, বলা হয় না-
ভালবাসি বড় বেশী ভালবাসি।

আমার স্বপ্ন ছুয়েঁ, মনেরই করিডরে,
কত দক্ষিণা হাওয়া আর কোকিলের কানাকানি,
বসন্ত ছুঁয়ে যায়, অবেলায়, অকারণে।
অকারণে, অকারনে, অকারণে,
ভালবাসি বলেই কি, মনো ঝড় তোলে।

এলোচুলের বাতাসে,
সুবাসিত হাসিতে,
বলা হয়নি, বলা হয় না-
ভালবাসি বড় বেশী ভালবাসি।

তোমার মনের তীর ঘেঁসে, কতবার টেনেছি দাড়ি,
কখনও দেখি কাশবনের ফুলে ভরা তোমার বাড়ি,
আমি ভাবি বসত করি, তোমার বাড়িতে, হোক অনাদরে,
অনাদরে, অনাদরে, অনাদরে।
ভালবাসি বলেই কি, নিজেকে বাউল লাগে।

অনেক কষ্টের মাঝে,
হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণে,
বলা হয়নি, বলা হয় না-
ভালবাসি বড় বেশী ভালবাসি।

৫:৪৫:০০ PM

Bhạbit́ Jio̠ṅ


Bam baḍaya tinạḱ ãṭe̠m sạgiń akana?
Mo̠ca re̠ lãńda,
São te̠ araḱ po̠tao.
Mẽń e̠dam ńe̠lo̠ḱ kana,
Tinạḱ mo̠j juluḱ so̠na.

Bam baḍaya tinạḱ ãṭe̠m bạgi o̠co̠ akana?

Pase̠ć são te̠ me̠naḱ ko̠ pũḍ harta,

Uńkuaḱ ko̠ṛam kho̠ń uḍuḱo̠ḱ so̠ te̠,
Am do̠m jạbuń akan ñamań bul re̠.

Bam aṭkar e̠da, tinạḱ ãṭe̠m bạrić akan?
Amaḱ to̠l girạ to̠paḱ akań,
Ẽń re̠hõ̠m lãńda kań,
Ẽṛe̠ bhit́ re̠ tińgu kate̠ć,
Lańda e̠dam cahab kate̠ć.

Bam bujhạo e̠da tinạḱ ãṭe̠m khãnjo̠ akan?
Nij e̠m le̠khaḱ kana laha,
Buṭạ ma maḱ kate̠ć am ge̠ le̠lha.
Jhuluḱ juput́ tinạḱ ãṭe̠m uduḱ e̠da,
Sanam ko̠ge̠ auoṛiaḱ buṭa ma rạput́ ge̠tam.

Bam ikạo e̠da ẽṭke̠tọ̠̃ṛe̠?
Samaj kho̠ń uduḱ kate̠ć,
Ce̠daḱ unạḱ aidạri?
Mit́ se̠ć te̠m kại e̠da,
Ãrhõ̠ lạṭu ro̠ṛ,
Amaḱ do̠ ce̠t́ ạidạri,
Samaj bạhir re̠ń?
৫:৪৪:০০ PM

অন্তরীক্ষে

অামি কত বার চোখ তুলে তাকাই
হৃত্‌পিন্ডের অলিন্দ ধরে ধরে হাতড়াই,
 অক্সিজেন অাছে, পানি অাছে, 
রক্তের সব কনিকা বিদ্যমান, 
তবে কিসের এ অপূণ‍র্তা?

সেদিন ধক্ ধক্ নাড়িটাকে, জিজ্ঞেস করলাম-
তোমার কিসের এত ধুকপুক?
অামায় সংগোপনে বলল-
জীবনের৤

অামি তো ধপাস!
এ জীবন জীবন নয়?
এ হাসি কান্নার নামই কী জীবন নয়?

সেদিন বন্য রাতে-
চিকন ছিপছিপে বাঁশ পাতাটা ভেজা,
পিচ্ছিল বন্য শিশিরের সোঁদা গন্ধ,
ঘৃনা অার মোহিতের ছন্দে, অামি জিজ্ঞেস করলাম-
তুমিই কী জীবন?
অামায় বলল, না৤

অামি তো চিত্‌পটাং!
৫:৪৪:০০ PM

থেমে যাওয়া

হাওয়াই হাওয়াই ভেসে ভেসে
কোন সে অচিনপুর,
স্বপ্নালোকের ঘোরে পড়ে,
দুনিয়ারে দেখাই আঙ্গুল।

জ্বলে এখনও তোমার  দীপ বাতি,
তাই তোঁ  রসের সওদাগরের আনাগোনা,
বাতির নিচের অন্ধকারে, 
কতই লুটোপুটি। 
তবুও মনের ঘড়ি টিকটিক চলে,
দিন রাতের নেই বিরতি ।
হায়রে বাতির বুঝি বিষম তেজস্ক্রিয়া। 

একদিন সাঙ্গ ঘরে ভঙ্গ হয়ে
 থাকবি ছায়াটা কে ধরে আন্ধকারে। 
সোনায় সোহাগ মিলন বাঁধবে,
একতারেরই সুরে।

মন পাগলে কত কি যে বলে,
রক্ত মাংসে কত জ্বলন ধরে,
আবার কতই ক্ষরণ করে, 
তবুও তোঁ হবে না পূরণ,
আশ আছে যত মনে।

৫:৪৩:০০ PM

জীবনের ফ্রেম

আমি যারে ধ্বংস বলি
তুমি বল জীবন।

আমি যারে আধাঁর গলি বলি,
তুমি বল মধুময় জোছনা ।

জীবনের ফ্রেমে ফ্রেমে তুমি কত কি,
আমি শুধু সাদাকালোয় আমার মুখ দেখি।

আধারের নষ্ট গলির কাদা মেখে,
মেক আপের আড়ালে কালিমা ঢাকো।

তভুও নিজেকে পোষ্টের বানাও,
হাসিমাখা মুখ সহসা দেখাও।

আর আমি লজ্জাই,
নিজের মুখ লুকায়।  
৫:৪২:০০ PM

পথহারা


একটি রাস্তা একটি পথ
একটি জীবন একটি বাসনা,
একটি সুখের ঠিকানা।

বড় বেশী মেকি মনে হয়, 
বড় বেশী অবহেলায় দুরে ঠেলা দেয়,

আর একটি সুখের,
আর একটি পরিণতির,
আর একটি সকাল,
আর একটি বিকেল,
আর একটি অন্ধকার। 

কিছু সুখ নেয়  কিনে, 
মূল্যবান কিছু দিয়ে । 

কিন্তু।

অনেক কিন্তু ভীড় জমায়,
রাস্তার আনাচে কানাচে,
গলির অন্ধকারে,
আয়নার অনেক ভিতরে। 

মাতাল মন,
মাতাল হাওয়া,
মাতাল প্রত্যাশা। 

বন্ধ করে মনের দুয়ার,
বন্ধ করে অনুভূতির আকার।

জীবনের দামে কি, জীবন কেনা যায়?

৫:৪১:০০ PM

অন্তারোহণ

তুমি কি কখনো চোখ বন্ধ করে হেঁটেছ?
কতদূর গিয়ে থেমেছ?
যেখানে বাধা সে পর্যন্ত ।
কি করেছিলে?
চোখ খুলে দেখেছিলে,
আবার কি বন্ধ করবে চোখ?
না বন্ধ কর না,
খোলাচোখের সাথে আরও দুটো যুক্ত কর
যুক্তি আর হৃদয়।
বাতায়নে দাঁড়িয়ে খুব করে খোলা আকাশ দেখেছ?
কি দেখেছ?
নীলাকাশ,
দুরে উড়ে যাওয়া পাখি,
কিংবা সাদা সাদা মেঘ!
ওরা উড়ে উড়ার তরে,
তাহলে তুমি কেন গোমরা মুখে,
বাতায়ন ঘিরে?
উড়ো ইচ্ছেমত তোমার আকাশে,
তবে শৃঙ্খল বিহীন জীবন, জীবন নয়,
যেমন শৃঙ্খল বিহীন প্রকৃতি, প্রকৃতি নয়।
৫:৪০:০০ PM

মনোহরি

যার মুখের কথায় এতো রং , যার হাসিতে উঠে ফাগুন, সে তো মনোহরি, পিয়াসি, অনন্ত অনিন্দন। বাতাসে যেমন কানাকানি, মাটির তেমনি কাঁপুনি, আধার চিরে আলোর রশ্মি, নিদ্রাভঙ্গ রাত পাড়ানি। ভোর টাকে বলি ওরে খোকা, আলো কেন ছড়াস, আমার বুকে পিদিম জ্বলে, তুই কেন পাশে দাঁড়াস। জোনাকিদের দিয়েছি ছুটি, তোরা এখন ঘুমা, তার আলোয় আলোকিত ভুবন, আধার আবার কেটা? চোখের নিচে কালি দেখে, ভাবিস কেন এটা সেটা, এতো আমার কাজল রেখা, অনেক দামে কেনা । আমি মাখি তার রং, হয়েছি রঙে রঙ্গিন , পিয়াসায় কাতর মন, খোঁজে সারাক্ষণ ।

৫:৩৯:০০ PM

মাঝে মাঝে

মাঝে মাঝে এমন সকাল আসে, শুধুই তাকে আলিঙ্গন করতে ইচ্ছে করে,
ইচ্ছে করে এই সকালটাকে টেনে নিয়ে যাই ঐ সকাল পর্যন্ত ।

মাঝে মাঝে এমন হয়,
যেমন কখনো হয় না, মাঝে মাঝে যেমন করে হয়,অনেক সাধনায়ও তেমন করে হয় না।

মাঝে মাঝে তুমি যেমন তুমি হও,আমি তেমন আমি হই না,তারপরও আমরা হই,
যেমন করে আকাশ আর বাতাস একাকার হয়।
মাঝে মাঝে দুর, দূরান্ত নয়,আবার নিকট, নিকতম নয়,তারপরও কাছাকাছি হই,যেমন করে ফুল আর ভ্রমর হয়।

৫:৩৭:০০ PM

এখন তখন

একা, একাকী এখন তখন, ফুল ফোটে আর ঝরে যখন, বাতাসেরো যত কানাকানি, হৃদয় মনে আগুন খানি, পোড়ায় পোড়ায় পোড়ায় আমায়, মিষ্টি সুখের মোহ মায়ায়।
দু'চোখেরই আগুনেতে ফাগুন পোড়ে মনের মাঝে, স্বপ্ন উড়ে আকাশ পানে, মেঘগুলো দেয় স্বপ্নিল ছোঁয়া ভরে, এখনো ভাবি এই বেশ আছি, স্বপ্ন আশা বুকে নিয়ে বাঁচি।
ধূসর অতীত ঘুণে ধরা, যেমন করে মরচা পড়া, ভুলে যাওয়া অতীতগুলো, এই সুখেরই বাতিওয়ালা, মন ডোবে মন কুঞ্জ বনে, এতো বারণ শোনে না কারণ।
স্বপ্ন রাতি হোক আরও দীর্ঘ, সকালের সূর্যটা হোক আরও বড়, নির্ঘুম রাত কাটুক অনাদি, ক্লান্তি সুখের অবয়ব মায়াবী, একা, একাকী এখন তখন, মিলে মিশে আজ আমি যেমন।
৫:৩৬:০০ PM

চল

চল ঐ নীল পাহাড়ের পাদদেশে, কাদামাটি খুঁড়ে রুপা তুলি অনেক পরিশ্রমে । চল ঐ হিমালয়েরই চুড়ায়, সাদা মেঘ থেকে ধার করে নেই অল্প কিছু সুধা।
চল ঐ নীল সাগরের তলদেশে, জলকেলি খেলি শুদ্ধ স্নানে। চল ঐ পাতাবাহারের দেশে, চুপটি করে বাধি বাসা মনের দুয়ার ঘেঁষে।
চল ঐ মরুভূমিরই প্রান্তরে, মরীচিকাদের সাথে হবে সখ্যতা বন্যবেশে ।
চল ঐ উত্তাল জোয়ারে, ডুবাডুবি হবে খানিক নিঃশ্বাস বন্ধ করে।
চল ঐ শান্ত নদীটিতে, ডুব মেরে থাকি কিছুক্ষণ পৃথিবী যেন না জানে।
চল না, পৃথিবীটাকে দেখি, নিজের মত করে। চল না, মনটাকে দেখি মনের মত করে। চল না, হৃদয় টাকে বলি- তোমার কথা শুনি।

৫:৩৫:০০ PM

রজকিনী

আমি ইট পাথরের জঙ্গলে বসে, কতবারই না হাতছানি দেই। আমায় দেখে খিলখিল করে হাসে নির্বোধ ল্যাম্ব পোস্টটা, ও পাড়ার রং চটা জিনস প্যান্ট পরা ছেলেরা, সিগারেটের ধোঁয়ায় অন্ধকার করে আমার পৃথিবী। তারপরও তুমি নিস্তব্ধ নগরীর রজকিনী। আঁধার নেমে এলে মনের গহিনে নামো, কুয়াশায় ঢাকা শীতার্ত হৃদয়ে উষ্ণতা ঢালো । আমি দেহের গিরিখাদে খাদে খাদে, ভয়াল জন্তুটাকে জয় করে, মুক্ত কুড়াই, রুপো কুড়াই, সাথে নুড়ি পাথর। তোমাকে সাজাবো বলে- আশ্বিনের রাতে, মেঘগুলোর সাথে, ভেজা দূর্বাঘাসের নরম পালকে। তারপরও তুমি কেন নিস্তব্ধ নগরীর রজকিনী? আমার হাশপাস হৃদপিণ্ড টাকে, শুধিয়েছি কতবার, বলেছি ওরে সোনা ওরে জাদুমণি, আর একটু সবুর কর- আসছে শরতের আকাশে , পূর্ণিমার সাথে, তাঁরারা বাতি জ্বালাবে, সে নগ্ন পায়ে চুপি চুপি এসে, তোমায় শুধাবে। অন্ধকার নগরী ছেড়ে, পায়েলের আওয়াজে, কাঁকনের রিনিঝিনি শব্দে, ঝুমকো লতার দুলনিতে, সে আসবে নগরী বিদীর্ণ করে, সে যে রজকিনী।

About

Ghonokuasha Baskey is a Santal writer of Bangladesh. He has started writing since 1985.