বন্দি ফ্রেমে স্মৃতির হাতছানি ( পর্ব - 5)
দাঁসাই নৃত্য, সোনারগাঁ প্যান প্যাসিফিক হোটেল, ঢাকা , বাংলাদেশ |
এই যুবকেরা কিসের নেশায়, ফাইভ স্টার হোটেলের বলরুমের স্টেজকে মাতোয়ারা করছে? আগামীতে অনেক কিছু পাওয়ার আশায়? টাকার জন্য? খুব গভীর জাতিত্ব বোধ যখন সব আকাঙ্খাকে ছাপিয়ে বেরিয়ে আসে, তখন পৃথিবীতে অনেক না পাওয়াকেও তুচ্ছ মনে হয়। জীবন কতদিনের? আমাকে ত্যাগ করে, আমার সত্ত্বাকে ত্যাগ করে, ক্ষনিক চাকচিক্যের মোহে কিংবা ক্ষনিক সুখের হাতছানিই কি জীবনের সবকিছু?
এই যুবকদের আজকে মনে হতে পারে, সেকেলে, কিন্তু তারা যে বিষয়টা তুলে ধরেছে সেটাও সেকেলে হতে পারে কিন্তু সেটা আত্ম পরিচয়। আজকে আধুনিক আর নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত এই সময়ে, আমার আপনার মনেই হতে পারে যে, আমার সময় নেই, আমাকে নিয়ে আরো বেশী কিছু করতে হবে কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি, আমার পরিচয় কি, আমি আলাদা করতে পারবো? বাস্কে থেকে বসাক হতে পারি, সরেন থেকে সৌরেন হতে পারি কিংবা সরেনের সাথে আরো কিছু যুক্ত করে দিলেই কি আমি বলতে পারবো, আমি আপগ্রেড হয়েছি? ”যারা পিছনের পথটাকে ভূলে যায়, তারা আর যাই কিছু করুক মানুষের মঙ্গল করতে পারে না।” এটা একজন বিখ্যাত লেখক ও দার্শনিকের কথা। আজকে আমরা যারা আমাদের পিছনের ইতিহাসটাকে ভুলের সাগরে নিক্ষেপ করার জন্য ব্যস্থ, আসলে সব কিছু মুছে ফেলা্ বড়ই কঠিন। বরং যা কিছু আছে সেটা আরো সুন্দর করে সাজানো আরো সহজ।
আসুন না, আমরা সবাই মিলে একবার চেষ্ঠা করি। আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি, আমাদের পরিচয়টাকে আরো সুন্দর করে সাজানোর আর তুলে ধরি সবার সামনে। একক ভাবে বেরিয়ে যাওয়ার মানে শুধু নিজেকে স্বার্থপর করে তোলা, এর মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই, বরং জম্ম দেয় কিছু ঘৃর্নার স্তুপ।
আজকে ধর্ম আমাদের সামনে একটি বিরাট দেয়াল তৈরী করেছে। সময় এসেছে, এই দেয়াল ভাঙার, কারন এ দেয়াল আমাদের বিচ্ছিন্নতা ছাড়া, বেশী কিছু দিতে পারবে না। সারা পৃথিবীতে ধর্মগুলো ভাল ফল উৎপন্ন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই সময় এসেছে এর যথার্ত ব্যবহার নিশ্চিত করার। শুধু শুধু মিথ্যে আবেগের বশে তাড়িত না হয়ে, এর সঠিক যৌক্তিকতাকে নির্নয়ের সময় এক্ষনিই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন