মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০১৪

১:৪২:০০ PM

জীবনের মানে



কিছুটা ছায়ায়,
কিছুটা উদ্ভাসিত।
কিছুটা মায়ায়,
আবার কিছুটা শঙ্কিত।

ছুটে চলা জীবনের গতি,
মাঝে মাঝে কিছু বিরতি।
ভাবুক মনের কুয়াশা স্বপ্ন,
দিন গুনে দিনের তন্ত্র।

হিমাদ্রির বুকে হেটে চলা একরাশ আনন্দ,
সিংহোল সমুদ্রের বুকে ক্ষনিক ছন্দ।

তারপর তিমির রজনী,
বৃষ্টিধোঁয়ায় মিশে যাওয়া।
আধাঁর আধারির সাথে,
যুগলবন্দি হওয়া।

ভোর হতেই-
জেগে উঠা ঘাস ফুলে,
অনিন্দ্য শিশির কনা।
শুভ্রতায় লুটোপুটি,
খরতাপে সবকিছু হারিয়ে,
দিন শেষে আবার ঘামে ভেজা।

জীবনের মানে কি এতটাই সামান্য?



বুধবার, ৪ জুন, ২০১৪

৬:৫১:০০ PM

বিজ্ঞানের থিউরি এবং ধর্ম


বিজ্ঞান বা ইতিহাস দিয়ে শ্রেষ্ঠ নয় বরং ঠিক কিনা এটা যাচাইয়ের প্রয়োজন আছে থিউরি বা সুত্রের প্রয়োগ তখনি বিভিন্ন হয়, যখন কোন একটি নির্দিষ্ট থিউরি এর উত্তর বা ফলাফল বের করতে পারে না আর যখন অন্য সুত্র প্রয়োগ করে সেই বিষয়টি ভুল প্রমানিত হয়, তখন সেই সুত্রের প্রয়োগের যৌক্তিকতা বিচার করা হয় আর যৌক্তিক বিচারের প্রশ্নে যখন সেটা উতরিয়ে যায়, তখন সেটা সঠিক থিউরি হিসেবে গণ্য করা হয় সুত্র ঠিক থাকলে, বিক্রিয়ায় কোনরুপ পরিবর্তন না করলে উত্তর একই রকম হবে এই রকম বিষয়গুলো বিজ্ঞানে আছে, যা অন্য সুত্র দিয়ে ভুল প্রমানিত হয়েছে তাহলে এইরকম জায়গায় কি করণীয়, বিজ্ঞানীরা সেটাও ঠিক করেছে বা এখন অবধি সেটার গবেষনা চলছে হুবাহু থিউরি প্রয়োগ ক্ষেত্র বা উপাদান যদি না পাওয়া যায়, তাহলে বিজ্ঞান যেভাবে বিশ্লেষণ করে, সেটাকে অনুসরন করে, এর একটি নির্দিষ্ট জায়গায় যাওয়া সম্ভব অর্থাৎ বিরাট পরিসরে বিজ্ঞানের থিউরি কে যেভাবে প্রয়োগ করা হয়, সেই ভাবে প্রয়োগ করে একটা গন্তব্যে পৌচ্ছানো সম্ভব 

যুক্তির বিচারের জায়গায় কোনটাকে নেবেন? আবেগ না থিউরি?

নিম্নের উদাহরণগুলো লক্ষ্য করুন:

উদাহরণ: বিজ্ঞান কিভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসকে সমর্থন করতে পারে?
) সান্তালি পৌরনিক কাহিনী মতে : মানুষ সৃষ্টি!
পাখির ডিম থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে, পিলচু হাড়াম, পিলচু বুডহি
বিজ্ঞান: মানুষের শরীরে পাখির ডিমের কোন উপাদান নেই। বা এর ডিএনএ এর সাথে মানুষের ডিএনএ এর  কোন সম্পর্ক নেই।
তাহলে এই তত্ত্ব? মিথ্যে
থিউরি বা সুত্র: ডিএনএ বিশ্লেষণ মানুষের প্রাথমিক সৃষ্টিকে স্পষ্ট করেছে আপনি এর অন্য কি থিউরি ব্যবহার করবেন? ডারউইন এর সুত্র? সেটাও আজকে মিথ্যে প্রমানিত হয়েছে
) প্রশ্ন: পৃথিবীতে কেন এত ধর্ম?       
এই প্রশ্নের উত্তর আপনি আবেগ দিয়ে প্রমান করতে পারবেন? না, পারবেন না
তাহলে যুক্তি অথবা বিজ্ঞান কিংবা ইতিহাসের কাছে যেতেই হবে

যুক্তি:
1. ধর্ম কী সৃষ্টিকর্তা তৈরী করেছেন? নাকি মানুষ ?
উত্তর যদি সৃষ্টিকর্তা হয়, তাহলে আবার প্রশ্ন- সৃষ্টিকর্তায় এই পৃথিবীর এত সব ঝামেলার জন্য দায়ী। তাহলে সেই রকম সৃষ্টিকর্তাকে নি:স্বার্থভাবে ভালবাসার কোন কারণ থাকে না বা উপাসনা করারও কোন যুক্তি থাকে না। তাহলে এই যুক্তি অনুসারে এত গুলো ধর্ম সৃষ্টিকর্তা বানাতে পারে না। কারণ তিনি তো সর্ব জ্ঞানী। যদি বানায়, তাহলে তার জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন উঠবে

2. মানুষই ধর্ম গুলো তৈরী করেছে?
উত্তর যদি সত্যি হয়, তাহলে এই বিশৃঙ্খলার জন্য মানুষই দায়ী। তাহলে, এত ধর্মের মধ্যে কোনটা সঠিক? কারণ একটা টিভি বা মেশিনের জন্য বিভিন্ন রকম ম্যানুয়েল হতে পারে না। যদিও মার্কেটে অনেক নকল ম্যানুয়েল থাকতে পারে, তার মধ্যে থেকে সেই মেশিনকে সঠিক উপায়ে পরিচালনা বা মেরামত করার জন্য সঠিক ম্যানুয়েলের বিকল্প নেই।  একটা মেশিন তৈরীর পর যদি একটা ম্যানুয়েল লাগে, তাহলে মানুষ তৈরীর পর কোন ম্যানুয়েল হয়নি, এটা কি স্বাভাবিক?

উপরোক্ত যুক্তি দুটি যৌক্তিকতা প্রমানের জন্য আপনি কোথায় যাবেন? আপনার আবেগের কাছে? পৃথিবীতে ধর্মপ্রান 400 কোটি মানুষ আছে, এই 400 কোটি মানুষের আবেগের উপর ভর করে সিদ্ধান্ত নেবেন? এই রকমভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়াও  সমীচিন হবে না। তাহলে?

উপরোক্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর খোঁজার জন্য আপনাকে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়ে বিজ্ঞান ইতিহাসকে সামনে আনতে হবে। এখানেই থিউরি  বা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রগুলো প্রয়োগের জায়গা।

উদাহরণ:
বিজ্ঞান:
মানুষ সৃষ্টি হয়েছে এবং এর বয়স হাজার হাজার বছর। যদিও এই তত্ত্বের প্রমানিত রুপ নিয়ে বিভিন্ন রকম তথ্য আছে। তবুও ধর্মের সাথে একে মিলানোর চেষ্টা করি

ধর্ম:
কোন ধর্মীয় পুস্তকই মানুষ সৃষ্টি এর সময়কালের ইতিহাস সম্বদ্ধে  সঠিকভাবে  তেমন কিছু বলে না, শুধু মাত্র বাইবেল  ছাড়া। তাহলে সেখানেই একটু পরীক্ষা করা যাক। বাইবেল সৃষ্টির 6 দিনসহ বিশ্রামের 1 দিনকে হাজার হাজার বছর সময় ধরে চলেছে বলে বর্ণনা করে। তাহলে এখানে মিল আছে। তাহলে এই ছোট মিলকে ধরে আরও পরীক্ষাটাকে এগিয়ে নেওয়া যাক। বাইবেলের সত্যতা প্রমানের জন্য এখানে যা কিছু লেখা আছে, সেটাকে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। যেমন: সৃষ্টির উপাদান, সময় এবং এতে লেখা ভবিষ্যদ্বানী।

উদা: সৃষ্টির উপাদান পানি, মাটি, গাছপালা, এবং জীবন। এই বিষয়গুলো বিজ্ঞান সমর্থন করে। যেমন: আলো আগে সৃষ্টি হয়েছে, তারপর গাছপালা। বাইবেলেও তাই বলে। এতে লেখা ভবিষ্যদ্বানীগুলোর শতভাগ সত্য হয়েছে, ইতিহাস প্রমান করে।

ভবিষ্যদ্বানী:
খ্রিস্টের জন্মের 600 বছর আগে বাইবেলে দানিয়েলর দ্বারা লেখা হয়েছিল বা ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছিল যে; পৃথিবীতে 7টি পরাশক্তি আবির্ভুত হবে এবং সরাসরি তাদের চরিত্রের বর্ণনা করা হয়েছে। এই 7টি শক্তি পৃথিবীতে পাওয়া গিয়েছে এবং এখন 7তম শক্তি অবস্থান করছে

অন্য কোন ধর্মীয় পুস্তুক কিংবা পৌরনীক কাহিনী উপরোক্ত বিষয়গুলোর কতটুকু কাছাকাছি যেতে পারে? গুলোর মান বিচারের দ্বারা কি সিদ্ধান্ত বা সঠিক যুক্তির  কাছে যাওয়া যায়?
ভাবেই বিজ্ঞান বা ইতিহাস দ্বারা ধর্মীয় সঠিকতা কে বিশ্লেষণ করা যায়

তাহলে প্রশ্নে আসি। পৃথিবীতে কেন এত ধর্ম?
উত্তর: সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক একটি ধর্মই সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন ধর্ম মানুষ সৃষ্টি করেছে। তাই পৃথিবীতে এত ধর্ম। কিন্তু এর মধ্যে একটি সঠিক ধর্ম বা সৃষ্টিকর্তার ধর্ম খুজে পাওয়া সম্ভব। কারণ মানুষের আধ্যাত্মিক জীবনের জন্য একটি সঠিক ম্যানুয়েল অবশ্যই আছে। আর এই সঠিক ম্যানুয়েলকে খুজে নেওয়ার জন্য গবেষণা বা বিশ্লেষনের প্রয়োজন আছে।

অভৌত কোন কিছু উপর হুবাহু কোন সুত্রের প্রয়োগিকতার উপর কিছু সমস্যা আছে। তাই অভৌত মৌলকে বিশ্লেষনের জন্য বিজ্ঞানের  থিউরি বা সুত্রগুলো যেভাবে ব্যবহৃত হয়, সেটার উপর নির্ভর করতে হয়।

অন্য কোন সুত্রে বা বিজ্ঞানের কার্য প্রানালী আছে যা এরকম  ক্ষেত্রে যখার্খভাবে ব্যবহার সম্ভভ?
উদাহরণ:  রাস্তা অনেক বা পথ অনেক কিন্তু যাওয়ার জায়গা একটিই- রকম  হয়, তাহলে উপরোক্ত বিষয় বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্লেষণ সম্ভব। কারণ অনেক রকম জিনিষ পরীক্ষা করে একই ফল পাওয়া যাবে, এটা কি সম্ভব? সেই কারণে এই রকম বিষয়গুলো প্রমান করার জন্য কোন থিউরি তো প্রয়োগ করতেই হবে। যখন এই রকম ক্ষেত্রে সদুত্তর পাওয়া যায় না, তখনি বিভিন্ন রকম থিউরিগুলোর জন্ম লাভ করে। আবার মাঝে মাঝে সেই উদ্দেশ্যের জন্যই বলা হয় যে, ধর্মকে বিজ্ঞানের সাথে তুলনা করা যাবে না? কিন্তু এখানে বলা বিভিন্ন পথ বিষয়টি যদি সত্যি প্রমান করতে হয়, তাহলে হয়ত প্রমানই করা যাবে না, এটা নিজেই একটা বিশৃঙ্থলার মধ্যে পড়ে আছে ফলে ফলাফল স্বরুপ অনেক লোকই পথ হারিয়ে ফেলেছে।

থিউরি ছাড়া কি আসলে কোন জিনিষের গ্রহনযোগ্যতা আছে? আমার জানা নেই।  এবং সাথে সাথে এও বলা যায়যুক্তিহীন আবেগ ছেলেমানুষী




About

Ghonokuasha Baskey is a Santal writer of Bangladesh. He has started writing since 1985.